সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন অভিনেতা হাসান মাসুদ হাসপাতালে ভর্তি, গুরুতর অসুস্থ চেন্নাইয়ে রজনীকান্ত ও ধানুশের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি, পুলিশ সতর্ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় সমিরার মা’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চলন্ত মোটরসাইকেলে দাঁড়িয়ে সিনেমার প্রচার, গ্রেপ্তার অভিনেতা জন্মদিনে নতুন রূপে হাজির শাহরুখ খান, ভিডিও ভাইরাল বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ দলের বিপিএলের আসর বসবে জানুয়ারিতে ভারতকে ‘হুমকি’, দুই দিনের মধ্যে এশিয়া কাপের ট্রফি বুঝিয়ে দিতে হবে জামায়াত যুব বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন মহাফুজের মধ্যে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকবেন শান্ত
৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতিফলন

৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতিফলন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন জনগণ অনিশ্চয়তা ও হতাশার মাঝে ডুবে রয়েছে, তখন আবারো দেশের শত্রুদের মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টাকে রোধ করতে এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারণা চালানোর অপচেষ্টা প্রতিহত করতে ৭ নভেম্বরের ঐক্যের চেতনা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তিনি আজ রোববার (২ নভেম্বর) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৫ সালে এই দিনই সেনা ও জনগণের যুগপৎ সফল বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। দেশকে বন্দিশৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সৈনিক-জনতা একযোগে কাজ করে। এরপরই বাংলাদেশে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হয়, যেখানে দেশের স্বাধীকারের লড়াই আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় চিহ্ন রেখে গেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আক্রমণে নিরস্ত্র বাঙালির রক্ষা ও মুক্তির জন্য তিনি চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দিয়েছিলেন, “I hereby declare the independence of Bangladesh.” এরপরের পাঁচ বছর ছিল দুঃশাসন আর অন্ধকারের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ১৯৭৪ সালে মহাদুর্ভিক্ষের কারণ হয়। সেই সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তীব্র অস্তমিতির Facing।

মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য নতুন রাজনৈতিক সংস্কার আনেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন, বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য নানা পদক্ষেপ নেন। অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত সূচনা করেন, গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, বিদেশে শ্রমিক প্রেরণের মাধ্যমে রেমিট্যান্সের ভিত্তি স্থাপন হয়। নারী শিক্ষায় ও নারীর ক্ষমতায়নে তিনি এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা শুরু করেন। কৃষিতে খাল খনন και উচ্চফলনশীল বীজনের আমদানি, সার ব্যবস্থার সংস্কার তার উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। এইসব উদ্যোগের ফলে দেশে শিল্পের বিকাশ ঘটে এবং কর্মসংস্থান বাড়তে থাকে।

তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৭৫ সালে শহীদ জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে। তবে তার দর্শন ও আদর্শ আজও অম্লান। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দর্শন কোনও শক্তিই পরাজিত করতে পারেনি। সেই জন্য বিএনপি বারবার ধ্বংসের মুখ থেকেও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে ও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের দিনেও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে শহীদ জিয়াউর রহমানের অনুসারী তারেক রহমান দেশের প্রবাসে থেকেও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন তারেক রহমান, যা নতুন দিশার আলো দেখাচ্ছে। অনুতাপ নয়, বরং দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তিনি আগামী দিনগুলোতে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করে যাবেন।শেষে তিনি আবারও উল্লেখ করেন, ৭ নভেম্বর আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি স্মরণ করে আমরা বুঝতে পারি, জাতির স্বপ্ন ও চেতনা জেগে ওঠে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেই দর্শনকে উৎসাহিত করে, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলব—একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়তে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd