গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, তিনি খুব দ্রুত মার্চ বা এপ্রিলে নির্বাচন চান। তার মতে, নির্বাচনের সময় যত দ্রুত হবে, ততটাই আমাদের জন্য সুবিধাজনক। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ না হয় তাহলে সংঘর্ষময় হয়ে উঠতে পারে—এ বিষয়টি নির্ভর করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং রাজনৈতিক দলের আচরণের ওপর। রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গণঅধিকার পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শহিদদের চেতনা নিয়ে রাজনীতি করি কিন্তু তাদের পরিবারের কেউ খোঁজখবর রাখে না। বিভিন্ন সময়ে শহীদ এবং আহত পরিবারের সদস্যরা আমাদের কাছে আসেন, তাদের চিকিৎসার জন্য সহায়তা চান। তিনি বলেন, এটা তাদের দ্বারাই হওয়া উচিত না, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আহতদের সুচিকিৎসা না হওয়ার জন্য এই ইন্টারিম সরকারই দায়ী। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় গড়ে উঠবে।
নুর সতর্ক করে বলেন, যদি নির্বাচন পিছিয়ে যায়, তাহলে তা রাজনৈতিক নেতাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। তিনি কেন্দ্রীয় প্রসিকিউটর টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তবে কিছু বিপথগামী জেনারেলের জন্য সেনাবাহিনী দায়ী নয়।
জাতীয় পার্টি নিয়ে নুর বলেন, যদি এই দলটি নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে এই দলটির মাধ্যমেই আবারো ক্ষমতা ফিরে আসবে আওয়ামী লীগ, যা নির্বাচন বানচাল করার উদ্দ্যেশ্যে কাজ করবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী দলের সদস্যরা পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করে। তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিরোধী আন্দোলন চালিয়েছে। তিনি বলেন, ২৪ তারিখ আমাদের জন্য সুযোগ দিয়েছে একসাথে উন্নত, কল্যাণমূলক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার।
রাশেদ খান জোর দিয়ে বলেন, আমাদের রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও মতভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে একত্রিত থাকতে হবে। না হলে আবারও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে। তিনি অভিযোগ করেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেব্রয়ারি মাসের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচালের মাধ্যমে আবারও ১/১১ এর মানেুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার চালানোর পরিকল্পনা করছে।
Leave a Reply