সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন হত্যাচেষ্টা মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি এসপি বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী, জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিজিটাল কমিউনিকেশন চ্যানেল ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ ফাঁদে পড়ে যা হারালেন তরুণী রোববার ৩ ঘণ্টা বিঘ্নিত হবে ইন্টারনেট সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে টেলিটক অনলাইন সিম সেবা ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন জোটের মহাসচিব

ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন জোটের মহাসচিব

সামরিক জোটে ন্যাটোতে ইউক্রেনের সম্ভাব্য সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন জোটের মহাসচিব মার্ক রুট। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে যে কোনো শান্তি আলোচনায় আরও অস্ত্র পাঠিয়ে দেশটির হাতকে শক্তিশালী করা।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যে কোনো মূল্যে ন্যাটোর সদস্য হতে চাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, কিয়েভের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোতে জোটের সদস্যপদ সম্প্রসারণই ইউক্রেনে তিন বছরের যুদ্ধের ‘উত্তপ্ত পর্যায়ের’ অবসান ঘটাতে পারে।

ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ফ্রন্ট পূর্ব দিকে এগোচ্ছে না। এটি ধীরে ধীরে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

মার্ক রুট বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ইউক্রেন শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে। শান্তি আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সরকারকে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কীভাবে তা পরিচালনা করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

জুলাইয়ে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ন্যাটোর ৩২টি সদস্য দেশের নেতারা জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন সদস্যপদ পাওয়ার পথে রয়েছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কেউ কেউ যুদ্ধ চলাকালীন এবং দেশের সীমানা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত হওয়ার আগে ইউক্রেনকে জোটে নেওয়ার বিষয়ে পিছপা হয়েছে। ইউক্রেনে যোগ দিতে হলে ৩২টি দেশকে সর্বসম্মতিক্রমে একমত হতে হবে।

৩০ বছর আগে হাঙ্গেরির রাজধানীতে সই করা একটি চুক্তির আওতায় রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিনিময়ে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি হয়েছিল ইউক্রেন। সেই সময়ের হিসেবে যা ছিল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রের সমান।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি দৃঢ় বিবৃতি জারি করে বুদাপেস্ট চুক্তিকে ‘কৌশলগত নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত গ্রহণে অদূরদর্শিতার স্মারক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আমরা নিশ্চিত যে ইউক্রেনের নিরাপত্তার একমাত্র আসল গ্যারান্টি এবং রাশিয়ান আগ্রাসনের প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো ন্যাটোতে ইউক্রেনের পূর্ণ সদস্যপদ।

ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তরে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা সাংবাদিকদের বুদাপেস্টের নথির একটি কপি দেখান। তিনি বলেন, এই নথি- এই কাগজ ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা এবং ট্রান্সআটলান্টিক নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকতে হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বলেছেন, ইউক্রেনের মিত্রদের অবশ্যই যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ তাদের আত্মরক্ষার জন্য যা করা দরকার তা করতে হবে। আবার যুদ্ধটি আলোচনা এবং সম্ভাব্য সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হবে বলেও আশা করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd