পারস্য উপসাগরে কেশম দ্বীপের কাছাকাছি এলাকা থেকে চোরাচালানের অভিযোগে একটি বিশাল পরিমাণ তেল বহনকারী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। এই ট্যাংকারে মোট ৪০ লাখ লিটার থেকে বেশি জ্বালানি ছিল। একই সঙ্গে, ওই ট্যাংকারের ১৬ জন বিদেশী নাবিককেও আটক করা হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা প্রেসটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের হরমোজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মোজতবা গাহরেমানি জানান, গত বুধবার ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই ট্যাংকারটি আটক করে। তেল চোরাচালান রোধ এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলামহোসেইন মোহসেনি-এজের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত এই ট্যাংকারের মূল্য প্রায় ৭ হাজার বিলিয়ন ইরানি রিয়াল (প্রায় ৫০ লাখ ডলার), যা সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, ট্যাংকারে থাকা ১৬জন বিদেশী ক্রু সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ এই সময় কোনও নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক বা ট্যাংকারের নাম প্রকাশ করেনি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান উপকূলরক্ষীবাহিনী বিশেষ করে হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগরের জলসীমায় সামুদ্রিক টহল জোরদার করেছে। এসব অঞ্চলে নজরদারি বাড়িয়ে তুলেছে, কারণ এগুলো বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ রুট।
এর আগে, গত সপ্তাহে ওমান উপসাগরে ৬০ লাখ লিটার চোরাই ডিজেল বহনকারী এক বিদেশি ট্যাংকার জব্দ করে ইরানি বাহিনী। নভেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সিঙ্গাপুরের দিকে যাওয়ার পথে একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করে ইরান। এছাড়াও, ১০ আগস্ট পারস্য উপসাগরে ২০ লাখের বেশি তেল বহনকারী একটি ট্যাংকার ও এর ১৭ নাবিককে আটক করে দেশটি।
সূত্র: প্রেসটিভি।
Leave a Reply