সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন হাদিকে নিয়ে পোস্ট, চমক ও মামুনকে হত্যার হুমকি অভিনেত্রীর সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে হেনস্তার ঘটনা প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ক্রিস রিয়া আর নেই সালমান খান পেরোল ৬০ বছর বয়সের সীমানা ফরিদপুরের কনসার্টে বিশৃঙ্খলা, জেমসের প্রতিক্রিয়া ৭ রানে ৮ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করলেন ভুটানের স্পিনার সোনাম ইয়েশে শান্তর সেঞ্চুরি ও মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে রাজশাহীর ৮ উইকেটে জয় মাঠে হার্ট অ্যাটাক করেছেন কোচ মাহবুব আলী জাকি, হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫৪৬৮ দিন পর জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড
যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন শীর্ষ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান

যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন শীর্ষ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান

যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক আশ্রয় (এ্যাসাইলাম) আবেদনের ক্ষেত্রে আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা হোম অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে, যেখানে অনেক আবেদনকারী প্রথমে স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছিলেন।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেষ হওয়া বর্ষে যুক্তরাজ্যে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৫১ জন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে প্রতীয়মান বিষয় হলো, এই আবেদনকারীদের প্রায় ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ৪১ হাজার ৫০০ জনই ইতিমধ্যে বৈধ ভিসা বা পারমিট নিয়ে ব্রিটনে অবস্থান করছিলেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভিসা পরিবর্তন বা ভিসা সুইচিং করে আশ্রয় আবেদন করার প্রবণতা গুরুত্বপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য হলো শিক্ষার্থীরা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসে আশ্রয় চেয়েছেন ১৪ হাজার ২৪৩ জন, এবং এরপরই রয়েছে চাকরি বা ওয়ার্ক ভিসাধারীরা, যাঁর সংখ্যা ১৩ হাজার ৪২۷। অতীতে প্রতি তিন মাসে এই সংখ্যা এক হাজারের নিচে থাকলেও এখন তা প্রতিটি প্রান্তিকে চার হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভৌগোলিক দিক থেকে দেখা যায়, প্রথমবারের মতো পাকিস্তান (১১ শতাংশ) শীর্ষে রয়েছে, এরপর রয়েছে ইরিত্রিয়া (৮ শতাংশ), ইরান (৭ শতাংশ), আফগানিস্তান (৭ শতাংশ) এবং বাংলাদেশ (৬ শতাংশ)। গত পাঁচ বছর ধরেই বাংলাদেশ এই তালিকার শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানে চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা এই আশ্রয়ের আবেদন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করছে। এ পরিস্থিতি ব্রিটিশ পয়েন্ট-ভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে তীব্র আলোচনা সৃষ্টি করেছে। কনজারভেটিভ পার্টির শ্যাডো হোম সেক্রেটারি ক্রিস ফিলপ এই প্রবণতাকে ‘সিস্টেমের অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেছেন, যেখানে স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসা ব্যবহার করে স্থায়ী হওয়ার জন্য অসাধু অপকৌশল চালানো হচ্ছে বলে তার দাবি। তিনি আরো বলেন, আশ্রয়ের জন্য দাখিল হওয়া আবেদনগুলো কঠোরভাবে যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, ব্রিটিশ হোম অফিস বলেছে তারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর ভিজিট ভিসা কড়াকড়ি করেছে, যার ফলে নির্দিষ্ট কিছু দেশের আশ্রয় আবেদন ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব হয়েছে। যদিও, আবেদনের বিশাল চাপের কারণে ২০২৩ সালের তুলনায় এখনো ৫৪ শতাংশ আশ্রয় আবেদন ঝুলে রয়েছে, যার সংখ্যা ৬২ হাজার ২০০ এরও বেশি।

পূর্ব লন্ডনের চ্যান্সারি সলিসিটরসের ব্যারিস্টার মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, বর্তমান লেবার সরকার ‘বর্ডার সিকিউরিটি এন্ড অ্যাসাইলাম বিল’ পাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দক্ষ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা বজায় রেখে অবৈধ আশ্রয়মুক্ত করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ তা। তিনি আরও বলেন, কিছু ভুয়া আবেদনকারণের কারণে অনেক প্রকৃত আবেদনকারী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd