ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রোববার থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে, এবং বিশ্বনেতারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রancsের রাষ্ট্রপ্রধানরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই পদক্ষেপ গাজায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করার পথ প্রশস্ত করবে।
হামাসের নেতা বাসাম নাইমের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই চুক্তিটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রতিটি ধাপের মোট সময়কাল হবে ৪২ দিন।
প্রথম ধাপ: আগামী রোববার থেকে ৩৩ জন জিম্মিকে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রথম দিন মুক্তি পাবে তিন নারী জিম্মি। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: এই পর্যায়ে স্থায়ীভাবে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে এবং ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করবে। বিনিময়ে হামাস তাদের জীবিত পুরুষ ও সেনাদের মুক্তি দেবে।
তৃতীয় ধাপ: এই পর্যায়ে নিহতদের মৃতদেহ বা অবশিষ্টাংশ বিনিময় করা হবে, পাশাপাশি গাজার পুনর্গঠনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা শুরু হবে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ এ চুক্তিকে ‘শান্তির দ্বার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অপরদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার একে বলেন ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সুসংবাদ’, এবং তিনি গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা পাঠানোর উপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, দুই-রাষ্ট্রের সমাধানের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তির বিষয়টি পুনরায় মনে করিয়ে দিলেন।
গত আগস্টে নিহত ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি হার্শ গোল্ডবার্গের পরিবারও এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা আশা করছে, এই চুক্তির জন্য অন্তত অন্য পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনকে ফিরে পাবে এবং নিহতদের যথাযথ সমাহিত করা সম্ভব হবে। তবে, তারা কাতার, মিশর এবং মার্কিন প্রশাসনের নজরদারির প্রতি সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন যেন চুক্তি মাঝপথে বাধার সম্মুখীন না হয়।
বর্তমানে হামাসের কাছে আরও অন্তত ৯৪ জন জিম্মি বন্দি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
Leave a Reply