বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবার নিজেও তার দেশের ফেরার তারিখ স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি জানান, ‘ইনশাআল্লাহ, আমি আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে যাবো। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করছি।’ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারেক রহমান বলেন, এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয় দুটি। প্রথমত, আজ ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবের দিন। দ্বিতীয়ত, তিনি উল্লেখ করেন যে, দীর্ঘ ১৭ থেকে ১৮ বছর দেশ থেকে দূরে থাকতে হলে এখন তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন। এই সভায় তিনি দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প ষড়যন্ত্রকারীরা, ১৯৭৫ সালের ১৭ নভেম্বরের পরাজিতরা, ৮১ ও ৯৬ সালের ষড়যন্ত্রকারী পুঁজির রাজনৈতিক কূটকৌশলকারীরা এখনও থেমে থাকেনি। তাদের ষড়যন্ত্র এখনো সক্রিয় রয়েছে, সুতরাং সববাসীর সতর্ক থাকার গুরুত্ব উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, স্বপ্ন দেখানো কি সরকারের কাজ? নয়, বিএনপি বিশ্বাস করে স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের। তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন দেখানো কাজ নয়, কাজ হলো পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসা।’ বক্তৃতায় তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার বিভিন্ন সময় দেশের আয়ের বিশাল অংশ পাচার করেছে। বিএনপি বিশ্বাস করে, তারা একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং দেশের সামনে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দুমাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন, যেখানে দেশের জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা পেলে তারা একটি কার্যকারী সরকার গঠন করতে পারবে। তিনি বলেন, আমি কোনো স্বপ্নের মধ্যে আছি না, আমি পরিকল্পনার মধ্যে থাকি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া দেশকে উদ্ধার করেছেন। বিএনপি বিশ্বাস করে, ভবিষ্যতের নির্বাচনে তারা দেশকে নতুনভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
২০০৭ সালের এক-এগারো’র রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০০৮ সালে তিনি কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাজ্যে যান, যেখানে এখনো থাকছেন।
Leave a Reply